সুত্রঃ বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০১৯, ২৯ ফালগুন ১৪২৫, ৫ রজব ১৪৪০, বর্ষ ৬, সংখ্যা ১৮৮, দৈনিক সোনালী খবর
নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইলে মিথ্যা মামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে পড়েছেন এক শিক্ষক। এ মামলা করায় তার চাকুরী ও জীবন হুমকির মুখে পড়েছে। প্রভাবশালী মহলের ভয়-ভীতি আর হুমকিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চারিখাদা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের এ সহকারী শিক্ষক মাসুম-আল-মাহমুদ।
তিনি নড়াইল সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের কাঠালবাড়ীয়া গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে। চাকুরী করা কালীন বিদ্যালয়ের সভাপতির পরিবার ও আত্মিয়ের পারিবারিক এবং আর্থিক দ্বন্দের জের ধরে দায়ের করা মিথ্যা অপহরণ মামলায় ৩ মাস হাজতবাস করেন। একপর্যায়ে আদালত কর্তৃক নির্দোষ প্রমানিত হন ও জেলহাজত থেকে মুক্তি পান সহকারী শিক্ষক মাসুম-আল-মাহমুদ। তারপরো তাকে আক্রোশ মূলক ভাবে বরখাস্ত করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সহকারী শিক্ষক মাসুম-আল-মাহমুদ ছুটির আবেদন করলেও প্রধান শিক্ষক অদৃশ্য কারনে তা অস্বিকার করেন। এমন কি ১ দিন বিনা দরখাস্তে অনুপস্থিত দেখিয়ে, অবাধ্য গন্য করে বরখাস্তের নোটিশ পর্যন্ত দেন। অপর দিকে যশোর শিক্ষাবোর্ডের আর্বিট্রেশন বোর্ড সহকারী শিক্ষক হিসাবে উক্ত শিক্ষক কে স্বপদে পুনর্বহালের নির্দেশ দেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি এ নির্দেশ মানছেন না।
বরং প্রভাব খাটিয়ে উক্ত শিক্ষক কে স্বপদে বহাল না করে নানা প্রকার তালবাহানা করে চাকুরীচ্যুতির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ শিক্ষক কে হয়রানী করতে মিথ্যা অপহরন মামলা দায়ের করেন। মামলায় সহকারী শিক্ষক মাসুম-আল-মাহমুদ, তার পিতা আবু বকর, দুই মামা, দুই মামাতো ভাই ও দুলা ভাই কে আসামী করা হয়। আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। সহকারী শিক্ষক মাসুম-আল-মাহমুদ ক্ষুদ্ধ হয়ে গত ১৪ নভেম্বর ওই মিথ্যা মামলার বাদী সহ ৩ জনের নামে মোঃ নাঃ শিঃ নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর সংশোধনী ২০০৩ এর ১৭ ধারায় মামলা করেছেন। মামলার আসামীরা হলেন ওই মামলার বাদী আজিজুর রহমান(৭০), আজিজুর রহমানের মেয়ে লতা বেগম(৪০) ও লতা বেগমের মেয়ে ঈপ্সিতা সালাউদ্দিন অগ্নি(১৮)। সহকারী শিক্ষক মাসুম-আল-মাহমুদ এর দায়ের করা মামলায় হাজিরা দিতে গেলে ওই ৩ আসামীকে জেল হাজতে পাঠান। পরবর্তীতে তারা জামিনে মুক্তি পান। বিদ্যালয়ের সভাপতির পরিবারের এ ৩ সদস্য হাজত বাস করায় সভাপতি আরো ক্ষিপ্ত হন। সভাপতি প্রভাবশালী হওয়ায় তার সাঙ্গোপাঙ্গদের দিয়ে তাদের নামে দায়ের করা মামলাটি তুলে নিতে নানা ভাবে ভয় ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন।
এছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে গায়েবি মামলা দেয়ার ঘোষনা দিয়েছেন। এমনকি মিথ্যা মামলা দিয়ে, সন্ত্রাসী হামলা করে ক্ষতি করার হুমকি দিচ্ছেন। শিক্ষক পরিবারকে চিরদিনের জন্য পথে বসানোর হুমকি দিচ্ছেন। শিক্ষক পরিবারকে চিরদিনের জন্য পথে বসানোর হুমকি দিচ্ছে। এহেন অবস্থায় শিক্ষক পরিবারটি আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি চাকুরী হারানোসহ প্রভাবশালী পরিবারের ভয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। আদালতে হাজিরা দিতে জীবনের ঝুকিসহ মামলা পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতার আশংকায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় দায়েরকৃত মানহানি মামলাটি প্রভাবশালী পরিবারের কথামত কোন প্রকার আপোস ছাড়াই শিক্ষক কে তুলে আনতে বলছেন অনেকে। বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এদিকে সহকারী শিক্ষক মাসুম-আল-মাহমুদ ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছেন।
(দৈনিক সোনালী খবর থেকে সংগ্রহীত)
No comments:
Post a Comment